ধান চাষে ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমনে এ সি আই ক্রপ কেয়ার দিচ্ছে নিশ্চিত সমাধান। এ সি আই ক্রপ কেয়ার এর পণ্য এসিমিক্স ৫৫ইসি ও রিলোড ১৮এস সি ব্যবহারে ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমনে শতভাগ সফলতা পাচ্ছেন দেশের ধান চাষিরা।

মাজরা পোকার লার্ভা ধান গাছের কাণ্ডের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে ও ভিতর থেকে কাণ্ডকে কুড়ে কুড়ে খায়। এ পোকার আক্রমণে সাধারণত ১৩ থেকে ২৬ ভাগ ফলন কম হতে পারে। ব্যাপক আক্রমণ হলে ৩০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত ফলনের ঘাটতি হতে পারে।

তাই একবার ধান গাছে আক্রমণ করলে সহজেই রক্ষা মিলে না। এক্ষেত্রে দরকার কার্করী পদক্ষেপ ও মানসম্মত ওষুধ ব্যবহার। তিন ধরনের মাজরা পোকা বাংলাদেশের ধান ফসলের ক্ষতি করে। এগুলো হলো হলুদ, কালো মাথা ও গোলাপী মাজরা পোকা।

ধান গাছে মাজরা পোকা’র আক্রমণের লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে মাজরা পোকার লার্ভাগুলো কান্ডের ভেতরে থেকে খাওয়া শুরু করে এবং ধীরে ধীরে গাছের ডিগ পাতার গোড়া খেয়ে কেটে ফেলে। এতে ডিগ পাতা মারা যায়।

শীষ আসার পর মাজরা পোকা ক্ষতি করলে সম্পূর্ণ শীষ শুকিয়ে যায়। একে ‘সাদা শীষ, ‘মরা শীষ’বা ‘হোয়াইট হেড’ বলে।

মাজরা পোকার লার্ভা যদি পাতার খোলের ভেতরে খায় এবং কান্ডের ভেতরের অংশ সম্পূর্ণভাবে কেটে না দেয় তাহলে ধানগাছের আংশিক ক্ষতি হয় এবং শীষের গোড়ার দিকের কিছু ধান চিটা হয়ে যায়।

মাজরা পোকা দমনের কৌশল/যেভাবে দমন করা যাবে মাজরা পোকা:

ধানের জমিতে শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ মরা ডিগ অথবা শতকরা ৫ ভাগ মরা শীষ পাওয়া গেলে এসিমিক্স ৫৫ইসি প্রয়োগে সফলভাবে দমন করা যাবে মাজরা পোকা।

ধানের বয়স ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে প্রথম স্প্রে করতে হবে। প্রয়োগমাত্রা: ৫ শতাংশ জমির জন্য ১০ লিটার পানিতে ১০ মি.লি. ভালভাবে মিশিয়ে স্প্রে করে প্রয়োগ করতে হবে।

মাজরা পোকা দমনে এসিমিক্স ৫৫ইসি সুফল মেলার অন্যতম কারণ হলো এতে ক্লোরপাইরিফস ৫০ % + সাইপারমেথ্রিন ৫ %. কার্যকরী উপাদান রয়েছে।

এসিমিক্স ৫৫ইসি উপকরণটি মাটির ওপরের এবং নীচের ক্ষতিকারক পোকাসমূহ দমন করে এবং অন্যান্য কীটনাশকের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী।

স্পর্শক ক্রিয়া সম্পন্ন কীটনাশক হওয়ায় সরাসরি শরীরের সংস্পর্শে আসা মাত্র পোকা মারা যায়।

এছাড়া উপকরণটি পাকস্থলীয় ক্রিয়া সম্পন্ন কীটনাশক তাই স্প্রে করা পাতা, ডগা ইত্যাদি থেকে রস খাবার সাথে সাথে পোকা মারা যায়।

আর শ্বাসরোধক গুনসম্পন্ন কীটনাশক যা পোকাকে নিশ্চিত ভাবে দমন করে ফসলকে সুরক্ষা প্রদান করে।

২য় স্প্রে করার সময়ে ধানের বয়স হতে হবে ৪০ থেকে ৪৫ দিন। এসময়ে রিলোড ১৮এস সি ব্যবহারে শতভাগ সুফল মিলবে। প্রয়োগমাত্রা হলো ৫ শতাংশ জমির জন্য ১০ লিটার পানিতে ৫ মি.লি. ভালভাবে মিশিয়ে স্প্রে করে প্রয়োগ করতে হবে।

রিলোড ১৮এস সি তে কার্যকরী উপাদান হিসেবে রয়েছে ফিপ্রোনিল ৬% + থায়ামেথোক্সাম ১২%. উপকরণটি স্পর্শক ক্রিয়া সম্পন্ন কীটনাশক বলে সরাসরি শরীরের সংস্পর্শে আসা মাত্র পোকা মারা যায়।

এছাড়া পাকস্থলী ক্রিয়া সম্পন্ন কীটনাশক বলে রিলোড ১৮ এস সি প্রয়োগকৃত পাতা, ডগা ইত্যাদি থেকে রস খাবার সাথে সাথে পোকা মারা যায়।

অন্তর্বাহী ক্রিয়াসম্পন্ন কীটনাশক হওয়ায় স্প্রে করার অল্প সময়ের মাঝেই গাছের ভিতরে প্রবেশ করে এবং মূল, কান্ড ও পাতার মাধ্যমে গাছের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তাই সম্পূর্ণ গাছটি পোকার জন্য বিষাক্ত হয়ে যায়। এজন্যই, স্প্রে করার অল্প সময়ের মাঝেই পোকা মারা যায়।

উল্লেখ্য কৃষকের সোনালী স্বপ্নের সাথে স্লোগান নিয়ে কৃষকের কাঙ্ক্ষিত ফলনের নিশ্চয়তায় এসিআই ক্রপ কেয়ার বছরের পর বছর কাজ করে যাচ্ছে। ধান চাষে ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমনে এসিআই ক্রপ কেয়ারে মিলছে নিশ্চিত সমাধান এতে দেশের কৃষকেরাও খুশি।

News Link: https://bit.ly/2o9DUkD

Error