বেগুনের ঢলেপড়া রোগ (Wilt of Brinjal)

রোগবালাই

পরিচিতিঃ

  • ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে এ রোগ হয়।
  • ফসলের চারা ও বাড়ন্ত পর্যায়ে আক্রমণ করে।
  • ফসলের কান্ডের গোঁড়ায় আক্রমণ করে।

ক্ষতির ধরণঃ

  • কান্ডের মাটি বরাবর গোড়া পানসে দাগ দেখা দেয় পড়ে তা গাঢ রঙ ধারণ করে। আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ গাছ ঢলে পড়ে ও শেষে মারা যায়।
  • আক্রান্ত গাছের গোড়ার প্রায় ২ ইঞ্চি ডাল কেটে পানিতে ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়া হতে সাদা কষের মত তরল পদার্থ (ব্যাক্টেরিয়াল উজ) বেরিয়ে আসে, যাতে পানির রং সাদা হয়ে যায়।
  • আক্রান্ত গাছ সকালে সুস্থ দেখালেও বিকেলে ঢলে পড়ে।

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

অনুকূল পরিবেশ

  • উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়ায় এই রোগ বেশি হয়।
  • মাটির উষ্ণতা এবং আর্দ্রতার উপর রোগের আক্রমণ ও উহার বিস্তৃতি বিশেষভাবে নির্ভর করে।
  • অপেক্ষাকৃত অধিক আর্দ্রযুক্ত ও ২৪° সেঃ এর বেশি  উষ্ণ মাটি এই রোগ বৃদ্ধির জন্য উপযোগী। সুপারফসফেট সার ব্যবহারেও রোগ বৃদ্ধি পায় এবং নাইট্রোজেন সার ব্যবহারে রোগ কমিয়া যায়।

জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা। মাটি ও বীজ শোধন।
  • পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ। বন বেগুনের সাথে জোড় কলমকরে চারা রোপন করুন।
  • ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হলে ক্ষেতের মাটিতে বিঘা প্রতি ২ কেজি হারে ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে হবে।

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • চারা লাগানোর আগে প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম এমকোজিম ৫০ ডব্লিউ পি ছত্রাকনাশক মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে চারা শোধন করে নিন।
  • চারা লাগানোর ১০-১৫ দিনের মধ্যে- এমকোজিম ৫০ ডব্লিউ পি ২০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতকে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার স্প্রে করতে হবে।

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ