কান্ডের মাটি বরাবর গোড়া পানসে দাগ দেখা দেয় পড়ে তা গাঢ রঙ ধারণ করে। আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ গাছ ঢলে পড়ে ও শেষে মারা যায়।
আক্রান্ত গাছের গোড়ার প্রায় ২ ইঞ্চি ডাল কেটে পানিতে ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়া হতে সাদা কষের মত তরল পদার্থ (ব্যাক্টেরিয়াল উজ) বেরিয়ে আসে, যাতে পানির রং সাদা হয়ে যায়।
মাটির উষ্ণতা এবং আর্দ্রতার উপর রোগের আক্রমণ ও উহার বিস্তৃতি বিশেষভাবে নির্ভর করে।
অপেক্ষাকৃত অধিক আর্দ্রযুক্ত ও ২৪° সেঃ এর বেশি উষ্ণ মাটি এই রোগ বৃদ্ধির জন্য উপযোগী। সুপারফসফেট সার ব্যবহারেও রোগ বৃদ্ধি পায় এবং নাইট্রোজেন সার ব্যবহারে রোগ কমিয়া যায়।
জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ
রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা। মাটি ও বীজ শোধন।
পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ। বন বেগুনের সাথে জোড় কলমকরে চারা রোপন করুন।
ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হলে ক্ষেতের মাটিতে বিঘা প্রতি ২ কেজি হারে ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে হবে।
রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ
চারা লাগানোর আগে প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম এমকোজিম ৫০ ডব্লিউ পি ছত্রাকনাশক মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে চারা শোধন করে নিন।
চারা লাগানোর ১০-১৫ দিনের মধ্যে- এমকোজিম ৫০ ডব্লিউ পি ২০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতকে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার স্প্রে করতে হবে।