বেগুনের জাব পোকা (Aphid of Brinjal)

ক্ষতিকর পোকামাকড়

পরিচিতিঃ

  • পূর্নাঙ্গ পোকা এবং বাচ্চা উভয়ই দেখতে ছোট আকৃতির, নরম, বাদামি অথবা বাদামি কাল রঙের। 
  • দলবদ্ধ ভাবে থাকে। দেহের পিছনে উভয় দিকে একজোড়া কালো নল আছে। 

ক্ষতির ধরণঃ

  • পূর্নাঙ্গ পোকা এবং বাচ্চা গাছের পাতা, কচি কাণ্ড, ফুল ও ফলের কুঁড়ি, বোটা এবং ফলের কচি অংশের রস চুষে খায়, ফলে গাছ দুর্বল ও হলুদ হয়ে যায়, পাতা কুচকে যায় । 
  • ফুল ও ফল অবস্থায় আক্রমন হলে ফুলের কুঁড়ি ঝরে পড়ে। 
  • আক্রমনের মাত্রা বেশি হলে কচি ডগা মারা যায়। 

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

অনুকূল পরিবেশ

  • জাবপোকা প্রায় সারা বছরই বংশ বৃদ্ধি করে। তবে শীতকালে মেঘলা কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া জাব পোকার বংশ বৃদ্ধি ও আক্রমণের প্রধান সময়। 
  • ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি হতে এ পোকার সংখ্যা বাড়তে থাকে। 

জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • আগের ফসলের নাড়া বা অবশিষ্ট অংশ ভালভাবে ধ্বংস করা ।  
  • সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায় অথবা আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়। 
  • এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। 

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • টিডো ২০ এস এল ৫ মি.লি. ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করুন। 
  • অথবা টিডো প্লাস ৭০ ডব্লিউ ডি জি ২ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। 
  • আক্রমণ বেশি হলে- পাইরাজিন ৭০ ডব্লিউ ডি জি ৪ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। 
  • এছাড়া এই পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করতে আক্রমণের পূর্বে- থায়োসাইড ৭৫ ডব্লিউ ডি জি ১.৫ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। 

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ