লক্ষীর গু বা ভূয়াঝুল রোগ (False smut)

রোগবালাই

placeholder

পরিচিতিঃ

  • রোগের জীবাণু- Ustilaginoidea virens নামক ছত্রাক। 
  • লক্ষীর গু বা ভূয়াঝুল রোগ ধান পাকার সময় দেখা যায়। 
  • ছত্রাক ধানে চাল হওয়ার শুরুতেই আক্রমণ করে এবং বাড়ন্ত চালকে নষ্ট করে বড় গুটিকা সৃষ্টি করে।

ক্ষতির ধরণঃ

  • গুটিকার ভেতরের অংশ হলদে কমলা রং এবং বহিরাবরণ সবুজ অথবা কাল হয়। কচি গুটিকাগুলো ১ সেমি এবং পরিপক্ক অবস্থায় আরও বড় আকারের হতে পারে। 
  • এক রকমের আঠা জাতীয় পদার্থ থাকার জন্য গুটিকা থেকে ক্ল্যামাইডোস্পোর জাতীয় অনুবীজ সহজে বের হয় না। 
  • সাধারণত: কোন শীষে কয়েকটা ধানের বেশী আক্রমণ হতে দেখা যায় না।

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

অনুকূল পরিবেশ

  • অতিরিক্ত আর্দ্রতাজমির উর্বরতা এই রোগ বৃদ্ধির পক্ষে অনুকূল
  • ধানের দুধ অবস্থার পর থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় এ রোগটি  দেখা যায়।
  • ধানের ফুল আসার সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত এবং জমিতে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া সারের ব্যবহার করলে রোগের প্রকোপ বেশি হয়।
আক্রান্ত ফসলের নমুনা

জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • আক্রান্ত গাছ বা শীষ তুলে ফেলা এ রোগ দমনের সবচেয়ে ভাল উপায়। 
  • বীজ শোধন দ্বারাও এ রোগ দমন করা যায়। 
  • সুস্থ গাছ হতে বীজ সংগ্রহ করে পরবর্তী মৌসুমে বপন করেও এ রোগ দমন করা যায়।

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • গাছের চারা অবস্থায় রোগ প্রতিরোধের জন্য- এমকোজিম ৫০ ডব্লিউ পি ১০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ২০০গ্রাম। 
  • রোগ দেখা দিলে- এসিবিন ২৮ এস সি ১০ মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ২০০ মিলি।

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ