এরা গাছের বাইরের পাতার খোলে এসে পুত্তলীতে পরিণত হয়।
পাতামাছির জীবনচক্র ৪ সপ্তাহে পূর্ণ হয়।
ক্ষতির ধরণঃ
ধানের কচি পাতা ভালো ভাবে খোলার আগেই এ পোকা পাতার পাশ থেকে খাওয়া শুরু করে। তাই আক্রান্ত পাতার কিনারা স্বচ্ছ ও সাদা হয়ে যায়। ফলে ঐ অংশের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
মাঝখানের পাতা যত বাড়তে থাকে ক্ষতিগ্রস্থ অংশ ততই স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া যায়।
পাতামাছির এই ধরনের ক্ষতির ফলে কুশী কম হয় এবং ধান পাকতে বাড়তি সময় লাগতে পারে।
চারা থেকে শুরু করে কুশি ছাড়ার শেষ অবস্থা পর্যন্ত এই পোকার আক্রমণ হতে পারে।
যেসব ক্ষেতে সবসময় দাঁড়ানো পানি থাকে সেসব ক্ষেতে এই পোকার আক্রমণ বেশি হয়।
আক্রান্ত ফসলের নমুনা
জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ
ক্ষেতের দাঁড়ানো পানি সরিয়ে দেয়া।
অথবা মালচিং করে পানি ঘোলা করে দেয়।
মাছি আকর্ষন করার জন্য বিষফাঁদ ব্যবহার করা।
রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ
এই পোকা দমনের জন্য- রাজধান ১০ জি প্রতি বিঘাতে ২.২৪ কেজি প্রয়োগ করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ৬.৮ কেজি।
এছাড়া পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করতে আক্রমণের পূর্বে- থায়োসাইড ৭৫ ডব্লিউ ডি জি ১.৫ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। বিঘা প্রতি মাত্রা ১০ গ্রাম।