ধানের বাদামী দাগ রোগ (Brown spot)

রোগবালাই

placeholder

পরিচিতিঃ

  • বাদামী দাগ ধানের একটি ছত্রাকজনিত রোগ। 
  • রোগের জীবাণু - Bipolaris oryzae নামক জীবাণু এ রোগ ছড়ায়।
  • রোগটি সব মৌসুমেই দেখা যায়। রোগটি ধানের বিভিন্ন অংশ আক্রমণ করতে পারে। তবে সচরাচর পাতা ও বীজে এর আক্রমণ বেশি দেখা যায়।

ক্ষতির ধরণঃ

  • পাতায় প্রথমে তিলের দানার মতো ছোট ছোট বাদামী দাগ হয়। 
  • ক্রমান্বয়ে বেড়ে ওঠা গোলাকৃতি দাগের মাঝখানটা অনেক সময় সাদাটে ও কিনারা বাদামী রঙের হয়। 
  • একাধিক দাগ মিলে বড় দাগের সৃষ্টি হয়ে সমস্ত পাতাটিই দাগে পরিপূর্ণ হয়ে যেতে পারে এবং গাছটি মরে যেতে পারে।

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

অনুকূল পরিবেশ

  • অনুর্বর জমিতে এই রোগ বেশি হয়। মাটিতে নাইট্রোজেন কম এবং ফসফরাস বেশি থাকলে গাছে এই রোগ সহজেই সংক্রমণ হয়। 
  • পাতায় রোগ সংক্রমণের জন্য ৮৯% আপেক্ষিক আর্দ্রতা (relative humidity) ও ২৫° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা খুবই উপযোগি। 
  • ধানের জমি শুকিয়ে আসলে অথবা মাটিতে জলীয় ভাগ কমে আসলে রোগের প্রকোপ বেশি হয়।
আক্রান্ত ফসলের নমুনা

জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • বীজতলা বা জমিতে পরিমিত সেচ দেয়া। 
  • জমিতে পর্যাপ্ত পরিমানে নাইট্রোজেন ও পটাশ সার ব্যবহার করা। 
  • পরিমানমতো ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করলে এ রোগ আর বাড়তে পারেনা।

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • গাছের চারা অবস্থায় রোগ প্রতিরোধের জন্য- এমকোজিম ৫০ ডব্লিউ পি ১০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ২০০গ্রাম। 
  • রোগ দেখা দিলে- কন্‌জা প্লাস ১০ এস সি ৫ মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ১০০ মিলি। 
  • আক্রমণ বেশি হলে- ডিফার ৩০০ ই সি ৭.৫ মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ১৫০ মিলি।

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ