পাটের কালো পট্টি রোগ (Black band)

রোগবালাই

পরিচিতিঃ

  • Diplodia corchori নামক ছত্রাকের আক্রমণে এই রোগ হয়।
  • ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : পূর্ণ বয়স্ক
  • ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড

ক্ষতির ধরণঃ

  • প্রথমে আক্রান্ত গাছের গোঁড়ার দিকে মাটি হতে কিছু উপরে বাদামি রঙের দাগ পড়তে দেখা যায়। ক্রমশ এই দাগ কালচে রঙ ধারণ করে। দাগ বৃদ্ধির সাথে সাথে এটা কাণ্ডকে ঘিরে ফেলে। এ জন্য এই রোগকে কালোপট্টি রোগ বলে।
  • এই বেষ্টনী ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠতে থাকে।
  • একাধিক কালোপট্টি গাছের কাণ্ডে দেখা দিতে পারে।
  • আক্রান্ত গাছ নিস্তেজ হয়ে যায় এবং পাতা ঝরে পড়ে। অনেক সময় গাছের কাণ্ড এতই দুর্বল হয় যে বাতাসে ভেঙ্গে যায়।
  • পাতা বিহীন মৃত কাণ্ড গুলোর গায়ে হাত দিয়ে ঘষা দিলে হাত কালো হয়ে যায়।

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

অনুকূল পরিবেশ

  • সাধারণত তোষা পাটে এ রোগের প্রকোপ বেশী দেখা যায়।
  • খরার সময় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী হয়।
  • সাধারণত জুন মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্তে এ রোগের প্রকোপ দেখা যায়।

জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • সুস্থ, সবল ও নীরোগ গাছ হতে বীজ সংগ্রহ করুন। ফসল কাটার পর গোঁড়া, শিকড় অন্যান্য আবর্জনা পুড়ে ফেলা।
  • জমি হতে পানি নিকাশের ভাল ব্যবস্থা করা।
  • পাট কাটার পর গাছের গোড়া, শিকড় ও অন্যান্য পরিত্যাক্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
  • গাছের ৭০% ফল পাকলেই বীজ কেটে ফেলা উচিত। দেরী করলে ছত্রাক সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • এসিবিন ২৮ এস সি প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ মিলি মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ১০০ মিলি।
  • অথবা ব্লাস্টিন ৭৫ ডব্লিউ ডি জি ৫ গ্রাম, প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ১০০ গ্রাম।

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ