পাটের ঢলে পড়া রোগ (Wilting of Jute)

রোগবালাই

পরিচিতিঃ

ছত্রাকজনিত রোগ

ক্ষতির ধরণঃ

  • ছোট ও বড় উভয় প্রকার গাছেই এই রোগ দেখা যায়।
  • আক্রান্ত গাছের ডগা ঢলে পড়ে।
  • মাটি সংলগ্ন গাছের গোঁড়ায় বাদামি অথবা কালো রঙের দাগ পড়ে। এই দাগ ক্রমশ উপরের দিকে বড় হয় এবং আক্রান্ত অংশের কোষে পচন ধরে।
  • সবশেষে সম্পূর্ণ গাছটাই ঢলে পড়ে এবং শুকিয়ে মারা যায়।

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

অনুকূল পরিবেশ

  • ফুল আসার সময় থেকে তোষা পাটে এ রোগ বেশী হয়।
  • ২৫°-৩২° সেঃ উষ্ণতা ছত্রাকের বৃদ্ধি ও অনুপ্রবেশের জন্য উপযোগী।

জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • সুস্থ, সবল ও নীরোগ গাছ হতে বীজ সংগ্রহ করুন।
  • জমি আগাছা মুক্ত রাখা ও ফসল কাটার পর গোঁড়া, শিকড় অন্যান্য আবর্জনা পুড়ে ফেলা।
  • জমি হতে পানি নিকাশের ভাল ব্যবস্থা করা।
  • পাট কাটার পর জমির আগাছা, আবর্জনা একত্রিত করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
  • গাছের ৭০% ফল পাকলেই বীজ কেটে ফেলা উচিত। দেরি করলে ছত্রাক সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
  • আক্রান্ত জমিতে ২-৩ বছর তোষা পাটের আবাদ না করে দেশি পাটের আবাদ করা যেতে পারে।
  • ঢলে পড়া বা শিকড় পচা কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রধান উপায় হল বীজ শোধন।

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • বীজ শোধন করলে এ রোগ দমন করা সম্ভব।
  • বীজ শোধনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে এমকোজিম ৫০ ডব্লিউ পি মিশিয়ে বপনের আগে ৩০ মিনিট ধরে বীজ শোধন করে নিতে হবে।

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ