আমের এনথ্রাকনোজ (Anthracnose)

রোগবালাই

পরিচিতিঃ

  • Colletotrichum gloeosporoides নামক ছত্রাকের আক্রমনে এ রোগ হয়। 
  • ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : ফলের বাড়ন্ত পর্যায়  
  • ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : ফল, সম্পূর্ণ গাছ

ক্ষতির ধরণঃ

  • আমের এনথ্রাকনোজ হলে কচি পাতায় অনিয়মিত দাগ দেখা যায়। 
  • এ রোগে আক্রান্ত মুকুল ঝরে যায়, আমের গায়ে কালচে দাগ পড়ে এবং আম পচে যায়। আক্রান্ত ছোট আম কালো হয়ে ঝরে পড়ে।

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

অনুকূল পরিবেশ

  • আম বড় হওয়ার সময় ঘন ঘন বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করলে এই রোগ দেখা দেয়ার সাম্ভাবনা থাকে। 
  • আমের  মুকুল  হওয়ার  সময়  বাতাসে  কুয়াশা  বেশি  থাকিলে  এই  রোগের  প্রাবল্য  বাড়িয়া  যায়  এবং  অধিকাংশ  মুকুল  কালো  হইয়া  ঝরিয়া  পড়ে।

জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • আমের মৌসুম শেষে গাছের মরা ডালপালা কেটে পুড়ে ফেলতে হবে। 
  • রোগাক্রান্ত পাতা ও ঝরেপড়া ফল সংগ্রহ করে পুড়ে অথবা পুঁতে ফেলতে হবে।

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • মুকুলে আক্রমন প্রতিহত করতে হলে- 
  • মুকুল ১০-১৫ সে মি লম্বা হলেই প্রথম স্প্রে করতে হবে, এর পর আম মোটর দানার মত হলে আর একবার স্প্রে করতে হবে। কীটনাশকের সাথে একত্রে ছত্রাক নাশক মিশিয়ে ও স্প্রে করা যায়। বাড়ন্ত আমকে রোগমুক্ত রাখতে হলে আম সংগ্রহের ১৫ দিন আগ পর্যন্ত, ১০ দিন পরপর শেষ বিকেলে নিম্নক্ত ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। 
  • মিটপ ৬০ ডব্লিউ জি প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছে স্প্রে করতে হবে। 
  • অথবা এসিবিন ২৮ এস সি ১০ মি.লি. প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। 
  • অথবা কেমামিক্স ৭৫০ ডব্লিউ পি ২০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। 
  • অথবা ব্লাস্টিন ৭৫ ডব্লিউ ডি জি ৫ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে।

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ