আম বড় হওয়ার সময় ঘন ঘন বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করলে এই রোগ দেখা দেয়ার সাম্ভাবনা থাকে।
আমের মুকুল হওয়ার সময় বাতাসে কুয়াশা বেশি থাকিলে এই রোগের প্রাবল্য বাড়িয়া যায় এবং অধিকাংশ মুকুল কালো হইয়া ঝরিয়া পড়ে।
জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ
আমের মৌসুম শেষে গাছের মরা ডালপালা কেটে পুড়ে ফেলতে হবে।
রোগাক্রান্ত পাতা ও ঝরেপড়া ফল সংগ্রহ করে পুড়ে অথবা পুঁতে ফেলতে হবে।
রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ
মুকুলে আক্রমন প্রতিহত করতে হলে-
মুকুল ১০-১৫ সে মি লম্বা হলেই প্রথম স্প্রে করতে হবে, এর পর আম মোটর দানার মত হলে আর একবার স্প্রে করতে হবে। কীটনাশকের সাথে একত্রে ছত্রাক নাশক মিশিয়ে ও স্প্রে করা যায়। বাড়ন্ত আমকে রোগমুক্ত রাখতে হলে আম সংগ্রহের ১৫ দিন আগ পর্যন্ত, ১০ দিন পরপর শেষ বিকেলে নিম্নক্ত ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
মিটপ ৬০ ডব্লিউ জি প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছে স্প্রে করতে হবে।
অথবা এসিবিন ২৮ এস সি ১০ মি.লি. প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে।
অথবা কেমামিক্স ৭৫০ ডব্লিউ পি ২০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে।
অথবা ব্লাস্টিন ৭৫ ডব্লিউ ডি জি ৫ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে।