এই রোগের আক্রমণের ফলে খাদ্যনালী বা ফ্লোয়েম নষ্ট হয়ে যায়। ফ্লোয়েম নষ্ট হয়ে গেলে শর্করা ও শর্করাদ্রব্য পাতা হতে নিচে আলুতে পৌঁছাতে পারে না। সে জন্য আলু ছোট হয় এবং এর ফলন কমে যায়।
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায়, চারা
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড, পাতা
ক্ষতির ধরণঃ
প্রথমে কচি পাতা ঢলে পড়ে বা নিচের বয়স্ক পাতা বির্বণ হয়ে যায়।
প্রথম দিকে গাছের অংশ বিশেষ, কয়েক দিন পরে পুরো গাছ ঢলে পড়ে।
আক্রান্ত কান্ডের ভিতরের অংশ কাল বাদামি রঙ ধারন করে, পানি গ্রহণে বাঁধা দেয়।
গাছের গোড়ার প্রায় ২ ইঞ্চি ডাল কেটে পানিতে ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে কাটা অংশ হতে কোন রস বের না হয়, পানির রঙের কোন পরিবর্তন না হয় তাহলে ছত্রাকের আক্রমণ বুঝতে হবে। বের হলে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন।
মাটির উষ্ণতা এবং আর্দ্রতার উপর রোগের আক্রমণ ও উহার বিস্তৃতি বিশেষভাবে নির্ভর করে।
ভিজা ও অল্প বায়ুযুক্ত মাটি রোগ সংক্রমনের জন্য উপোযোগী।
জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ
এই রোগের নিরাময়ের জন্য সর্বপ্রথম বীজ আলু রোগমুক্ত হতে হবে।
আলুকে গুদামজাত করার সময় আলুর সঙ্গে কিছু রসুন মিশিয়ে রাখতে হবে।
হিমাগারের তাপমাত্রা ৫০°-১৩০° সেঃ নিয়ন্ত্রন করা উচিৎ।
বীজ বপনের পূর্বে ফরমালিনে ডুবিয়ে রাখতে হবে।
আলু ক্ষেতে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করে এর মাটি ঝুরঝুরে করে রাখতে হবে।
রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ
বীজ জমিতে বপন করার পূর্বে বীজকে ছত্রাকনাশক দ্বারা শোধন করে নিতে হবে। এজন্য- এমকোজিম ৫০ ডব্লিউ পি ২০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে।
ছত্রাকের আক্রমণ হলে- নেমিসপোর ৮০ ডব্লিউ পি ৪৫ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। ৭ দিন পরপর ৩ বার গাছের গোড়ায় ও মাটিতে স্প্রে করুন।
আক্রমণ বেশি হলে- রোভানন ৫০ ডব্লিউ পি ২০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে।
ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ হলে ক্ষেতের মাটিতে বিঘাপ্রতি ২ কেজি হারে ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে হবে।