আলুর জাব পোকা (Potato Aphid)

ক্ষতিকর পোকামাকড়

পরিচিতিঃ

জাব পোকার প্রজাতির মধ্যে মাইজাস পারসিকি নামক প্রজাতি ভাইরাস রোগ ছড়িয়ে বীজের মান নষ্ট করে। 

  • পোকার রঙ সবুজ, তবে বাদামী বর্ণের জাব পোকাও দেখা যায়। 
  • জাবপোকা জরায়ুর মধ্যে বাচ্চা ধারণ করে এবং প্রসব করে। একটি স্ত্রী জাবপোকা ২৬-১৩৩ টি নিম্ফ বা বাচ্চা জন্ম দিতে পাড়ে। 
  • জাবপোকা সরাসরি ডগা ও পাতা থেকে রস চুষে খায়। এর পরে পাতা বিবর্ণ হয়ে ঢলে পড়ে বা বিকৃত হয়ে যায়। 
  • জাব পোকা আলু গাছের সরাসরি ক্ষতি ছাড়াও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন ভাইরাস রোগ সৃষ্টিতে বাহক হিসাবে কাজ করে। 
  • পোকার দেহের ভিতরের ভাইরাস কণিকা গাছের রস চুষার সময় লালা বা বংশ পরম্পরায় বাচ্চা প্রসব করলে সে বাচ্চাও ভাইরাস জীবাণু বহন করে। 

ক্ষতির ধরণঃ

  • পূর্ণবয়স্ক জাব পোকা ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে। 
  • পোকা পাতা, কান্ড ও ডগা থেকে রস চুষে খায়। 
  • আলুর বিভিন্ন ভাইরাস রোগ ছড়ায়। 
  • পাতা কুঁকড়ে যায়, হলুদ বর্ণ ধারণ করে বা বিভিন্ন আকৃতির ও বর্ণের হতে পারে। 

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

অনুকূল পরিবেশ

  • জাবপোকা প্রায় সারা বছরই বংশ বৃদ্ধি করে। তবে শীতকালে মেঘলা কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া জাব পোকার বংশ বৃদ্ধি ও আক্রমণের প্রধান সময়। 
  • ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি হতে এ পোকার সংখ্যা বাড়তে থাকে।  

জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • আগাম আলু চাষ। 
  • আলুর জমির আশেপাশে সোনালী গোত্রভুক্ত (সরিষা) চাষ করা যাবে না। কারণ সরিষা ফুলে এরা আকৃষ্ট হয়। 
  • সুষম সার ও সময় মত সেচ দিতে হবে। 
  • প্রাকৃতিক শত্রু যেমনঃ লেডীবার্ড বিটল, বোলতা সংরক্ষণ করে জাব পোকার সংখ্যা কমিয়ে রাখা যায়। 

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • টিডো ২০ এস এল ৫ মি.লি. ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করুন। 
  • অথবা টিডো প্লাস ৭০ ডব্লিউ ডি জি ২ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। 
  • আক্রমণ বেশি হলে- পাইরাজিন ৭০ ডব্লিউ ডি জি ৪ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। 
  • এছাড়া এই পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করতে আক্রমণের পূর্বে- থায়োসাইড ৭৫ ডব্লিউ ডি জি ১.৫ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। 

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ