হোম
পরিচিতি
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
পরিচালনা পর্ষদ
আমাদের কার্যক্রম
উৎপাদন ব্যবস্থা
বিতরণ ব্যবস্থা
ব্র্যান্ডসমূহ
পণ্য ও সেবা
বালাইনাশক সমাধান
ফলন বর্ধক
বায়ো সমাধান
স্প্রে সার্ভিস ও ইকুইপমেন্ট
সারফ্যাকটেণ্ট
ছাদ বাগান সমাধান
ব্যবসায় সমূহ
ক্রপ কেয়ার
ফ্লোরা
বায়ো ক্রপ কেয়ার
ফ্লো মাস্টার
গ্রীন সল্যুশন
ফসল সুরক্ষা
ধান
অর্থকরী ফসল
ডাল জাতীয় ফসল
মসলা ফসল
ফুল ও ফল
দানাদার ফসল
তেল জাতীয় ফসল
সবজি ফসল
মিডিয়া
পুরষ্কার
ইভেন্ট
ডাউনলোড
কৃষি ও আমরা
যোগাযোগ
ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতা পোড়া রোগ (Bacterial Blight)
রোগবালাই
হোম
ফসল সুরক্ষার নির্দেশিকা- Crop Pest Solution
ধান
ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতা পোড়া রোগ (Bacterial Blight)
পরিচিতিঃ
রোগের জীবাণু-
Xanthomonas oryzae
এটি ঝলসানো রোগ নামেও পরিচিত।
পাতাপোড়া রোগের ব্যাকটেরিয়া জীবাণু আক্রান্ত- গাছ বা তার পরিত্যক্ত গোড়া, কুটা ও বীজ এবং আগাছার মধ্যেও থাকতে পারে।
এ রোগের ফলে গাছের বিভিন্ন বয়সে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ (ক্রিসেক, পাতা পোড়া ও ফ্যাকাশে হলুদ) দেখা দেয়।
এ রোগের আক্রমণের ফলে প্রত্যেক বছর ধানের ফলন গড়ে শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ কমতে পারে।
ক্ষতির ধরণঃ
আক্রান্ত গাছের নিচের পাতা প্রথমে নুয়ে পড়ে এবং শুকিয়ে মারা যায়। এভাবে গোছার সকল পাতাই মরে যেতে পারে।
এ অবস্থাকে ক্রিসেক বা নেতিয়ে পড়া রোগ বলা হয়।
চারা বা প্রাথমিক কুশি বের হওয়ার সময় গাছের পাতা বা পুরো গাছটি ঢলে পড়ে। মাঝে মাঝে আক্রমণ প্রবণ জাতের ধানে পাতাগুলো ফ্যাকাশে হলদে রঙের হয়।
গাছের বয়স্ক পাতাগুলো স্বাভাবিক সবুজ থাকে, কিন্ত কচি পাতাগুলো সমানভাবে ফ্যাকাশে হলদে হয়ে আস্তে আস্তে শুকিয়ে মারা যায়।
পাতা পোড়া রোগের লক্ষণের ক্ষেত্রে প্রথমে পাতার কিনারা অথবা মাঝে নীলাভ সবুজ রঙের জলছাপের মত রেখা দেখা যায়।
দাগগুলো পাতার এক প্রান্ত, উভয় প্রান্ত বা ক্ষত পাতার যে কোন জায়গা থেকে শুরু হয়ে আস্তে আস্তে সমস্ত পাতাটি ঝলসে বা পুড়ে খড়ের মত হয়ে শুকিয়ে যায়।
আক্রমণ প্রবণ জাতের ধানে দাগগুলো পাতার খোলের নিচ পর্যন্ত যেতে পারে।
এক সময়ে সম্পূর্ণ পাতাটি ঝলসে যায় বা পুড়ে খড়ের মত হয়ে শুকিয়ে যায়।
রোগ সমস্ত জমিতে ছড়িয়ে পড়লে পুড়ে গেছে বলে মনে হয়।
ক্ষতির ব্যপ্তিঃ
ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতা পোড়া রোগের আক্রমণের ফলে প্রত্যেক বছর ধানের ফলন গড়ে শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ কমে যায়।
2
অন্যান্য বিভাগসমূহ
ধান এর সম্পূর্ণ বালাই ব্যবস্থাপনা
অর্থকরী ফসল
ডাল জাতীয় ফসল
মসলা ফসল
ফল এর বালাই সমস্যা ও সমাধান
দানাদার ফসল
তেল জাতীয় ফসল
সবজি ফসল
অনুকূল পরিবেশ
শিশির, সেচের পানি, বৃষ্টি, বন্যা এবং ঝড়ো হাওয়ার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়।
ব্যাকটেরিয়া কোষগুলো একত্রে মিলিত হয়ে ভোরের দিকে হলদে পুঁতির দানার মত গুটিকা সৃষ্টি করে এবং এগুলো শুকিয়ে শক্ত হয়ে পাতার গায়ে লেগে থাকে।
পরবর্তীকালে পাতার গায়ে লেগে থাকা জলকণা গুটিকাগুলোকে গলিয়ে ফেলে এ রোগের জীবাণু অনায়াসে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
আক্রান্ত ফসলের নমুনা
জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ
রোগাক্রান্ত জমির ফসল কাটার পর নাড়া পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
ঝরো বৃষ্টির পর ইউরিয়া সার দিবেন না।
রোগ দেখার পর ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ বন্ধ করুন ।
ক্রিসেক আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলে পার্শ্ববর্তী গাছ থেকে কুশি এনে লাগিয়ে দেয়া।
আক্রান্ত ক্ষেতের পানি বের করে দিয়ে জমি ভেদে ৭-১০ দিন শুকানো।
আক্রান্ত ক্ষেতে বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার প্রয়োগ করে মাটিতে ভালভাবে মিশিয়ে দিলে এ রোগের তীব্রতা কমে।
রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ
চারার বয়স ৫৫-৬০ দিন হলে- কন্জা প্লাস ১০ এস সি ৫ মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ১০০ মিলি।
অথবা ডিফার ৩০০ ই সি ৭.৫ মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ১৫০ মিলি।
সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ
কনজা প্লাস ১০ এস সি
ডিফার ৩০০ ই সি
আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ