মেঘলা আকাশ, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এবং গুমোট আবহাওয়া যদি একাধারে ২-৫ দিন বিরাজ করে এবং সে সঙ্গে তাপমাত্রা ২৫-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
ধান গাছে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ, শ্রাবণ-ভাদ্র, কার্তিক-অগ্রহায়ণ এই তিনটি সময়ে খোলপোড়া রোগের আক্রমণ বেশ তীব্রতর হয়।
আক্রান্ত ফসলের নমুনা
জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ
সুষমভাবে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহার করা।
ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
রোগ দেখা দিলে পর্যায়ক্রমে ক্ষেতে পানি দেয়া ও ক্ষেত শুকানো হলে রোগের প্রকোপ কমে।
রোগ দেখার পর ১৫ দিন অন্তর বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ দুই কিস্তিতে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
ফসল কাটার পর ক্ষেতের নাড়া পুড়ে ফেলা।
রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ
ধানের খোলপোড়া রোগের নিশ্চিন্ত সমাধান- এসিবিন ২৮ এস সি ১০ মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ২০০ মিলি।
এছাড়া ধানের খোলপোড়া রোগের অন্যান্য কার্যকরী বালাইনাশক হল- কন্জা প্লাস ১০ এস সি ৫ মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ১০০ মিলি।
অথবা ব্লাস্টিন ৭৫ ডব্লিউ ডি জি ৪ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ৮০ গ্রাম।
অথবা প্রাউড ২৫ ই সি ২০ মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ৪০০ মিলি।
আক্রমণ বেশি হলে- ডিফার ৩০০ ই সি ৭.৫ মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ১৫০ মিলি।
গাছের চারা অবস্থায় রোগ প্রতিরোধের জন্য- এমকোজিম ৫০ ডব্লিউ পি ১০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ২০০গ্রাম।