ধানের গলমাছি বা নলিমাছি (Rice Gall Midge)

ক্ষতিকর পোকামাকড়

placeholder

পরিচিতিঃ

  • পূর্ণবয়ষ্ক গলমাছি দেখতে একটা মশার মত। স্ত্রী গলমাছির পেটটা উজ্জ্বল লাল রঙের হয়। 
  • এরা রাতে আলোতে আসে, কিন্তু দিনের বেলায় বের হয় না। স্ত্রী গলমাছি সাধারণত পাতার নিচের পাশে ডিম পাড়ে। তবে মাঝে-মাঝে পাতার খোলের উপরও ডিম পাড়ে। 
  • ধানের উপরে গলমাছির জীবনচক্র সম্পূর্ণ হতে ৯ থেকে ২৪ দিন সময় লাগে। 
  • ধানের চারা অবস্থা থেকে যদি আক্রমণ শুরু হয় তাহলে কাইচ থোড় অবস্থা আসা পর্যন্ত সময়ে এ পোকা কয়েকবার জীবনচক্র সম্পূর্ণ করতে পারে।

ক্ষতির ধরণঃ

  • এ পোকার আক্রমণের ফলে ধান গাছের মাঝখানের পাতাটা পিঁয়াজ পাতার মত নলাকার হয়ে যায়। এ জন্য এ পোকার ক্ষতির নমুনাকে “পিঁয়াজ পাতার গল” বলা হয়ে থাকে। 
  • এ গলের বা নলের প্রথামাবস্থায় রঙ হালকা উজ্জ্বল সাদা বলে একে “সিলভার শুট বা রুপালী পাতা” বলা হয়। 
  • গল হলে সে গাছে আর শীষ বের হয় না। তবে গাছে কাইচ থোড় এসে গেলে গলমাছি আর গল সৃষ্টি করতে পারে না।

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

  • গলমাছি বা নলিমাছি এর আক্রমনে সাধারণত ধানের ফলন শতকরা প্রায় ৩০ – ৪০ ভাগ কমে যেতে পারে।

অনুকূল পরিবেশ

  • যে সমস্ত অঞ্চলে শুধু শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুম বিদ্যমান, সে সব অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমের আগাম ধান ক্ষতি এড়িয়ে যেতে পারে। 
  • বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে রোপণ করলে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, যে সমস্ত ক্ষেতে প্রায় সব সময়ই দাঁড়ানো পানি থাকে সে সব ক্ষেতেই এই পোকা বেশি আক্রমণ করে।
আক্রান্ত ফসলের নমুনা

জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • আলো ফাঁদের সাহায্যে পূর্ণবয়স্ক গলমাছি ধরে ধ্বংস করা

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • শতকরা ৫ ভাগ পিঁয়াজ পাতার মত হয়ে গেলে রাজধান ১০ জি বিঘা প্রতি ২.২৪ কেজি ব্যবহার করে গলমাছি দমন করা হয়। একর প্রতি মাত্রা ৬.৮ কেজি। 
  • অথবা সিডিয়াল ৫ জি বিঘা প্রতি ১.৩ কেজি প্রয়োগ করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ৪ কেজি। 
  • এছাড়া পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করতে আক্রমণের পূর্বে- থায়োসাইড ৭৫ ডব্লিউ ডি জি ১.৫ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। বিঘা প্রতি মাত্রা ১০ গ্রাম। 
  • বিকালে স্প্রে করা অধিক উপকারী।

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ