ধানের উফরা রোগ (Ufra disease of rice)

রোগবালাই

পরিচিতিঃ

  • বিভিন্ন এলাকায় এ রোগ ডাকপোড়া, জ্বলে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, লোনা লাগা ইত্যাদি নামে পরিচিত।

  • বৃহত্তর বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, কুমিল্লা, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা জেলায় এ রোগ দেখা যায়। রোপা আমন, বোরো এমনকি আউশ ধানেও এ রোগ দেখা যায়।

  • রোগের কারণ : কৃমি 

ক্ষতির ধরণঃ

  • ধানের গাছের পাতার কচি অংশের রস শোধন করে খাওয়ার ফলে পাতা গোড়ায় সাদা ছিটেফোটা দাগের মত দেখায়। 
  • সাদা দাগ বাদামী হয়ে সম্পূর্ণ পাতাটিই শুকিয়ে ফেলে। 
  • আক্রান্ত ছড়া মোটেই বের হয় না বা হলেও মোচ খেয়ে অল্প বের হয় ও চিটা হয়।

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

  • প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমির ধান উফরা রোগে আক্রান্ত হয়। সধারণত শতকরা ৪০ – ১০০ ভাগ ফলন এই রোগের আক্রমণের ফলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অনুকূল পরিবেশ

  • শুকনো আবহাওয়া ও কম তাপমাত্রার জন্য রোরো ধানে এ রোগের প্রকোপ কিছুটা কম হয়।
  • বাতাসের তাপমাত্রা ২৮-৩০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড বায়ুর আর্দ্রতা শতকরা ৭০ ভাগের বেশি, ঘনঘন বৃষ্টি ও জমিতে পানি জমে থাকা এ রোগের জন্য বেশি উপযোগী।
  • এ রোগের জীবাণু পানির স্রোতের সাথে এক জমি থেকে অন্য জমিতে যায়।
  • বিশেষত জলী আমন ধানে এরূপ হয়ে থাকে। 
  • ধান গাছে উফরা রোগের আক্রমণ ফাল্গুন মাস থেকে শুরু হয়ে বৈশাখ-জৈষ্ঠ মাসে কিছুটা তীব্রতর হয়ে আষাঢ় মাসের শেষের দিকে কমতে থাকে, তবে শ্রাবণ মাসের শুরু থেকে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং আশ্বিণ-কার্তিক মাসে বেশ তীব্রতর হয়ে অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে কমতে থাকে।
আক্রান্ত ফসলের নমুনা

জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরতে পারলে গাছের আগা ছেটে দিতে হবে। 
  • যেখানে সম্ভব সেখানে বছরের প্রথম বৃষ্টির পর জমি চাষ দিয়ে ১৫-২০ দিন পর শুকানো। 
  • ঘাস জাতীয় আগাছা, মুড়ি ধান বা ঝরে পড়া ধান (বিকল্প পোষক) সবসময় দমন করা। 
  • শস্য পর্যায় অবলম্বন করা।

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • ধানের চারা লাগানোর ১৫ দিন পর- প্রথম কিস্তি ইউরিয়া সার প্রয়োগের সময় ইউরিয়ার সাথে ব্রিফারজি বিঘা প্রতি ১.৩ কেজি করে প্রয়োগ করতে হবেএকর প্রতি মাত্রাকেজি

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ