মসুরের এনথ্রাকনোজ (Anthracnose)

রোগবালাই

পরিচিতিঃ

  • ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়।
  • ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়
  • ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে: কান্ড, পাতা

ক্ষতির ধরণঃ

  • শুরুতে গাছের নতুন ডগা ও ফুলের কুড়িতে রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। আক্রান্ত ফুল নুয়ে শুকিয়ে ঝরে পড়ে, রোগ বাড়ার সাথে সাথে ফলের বোটা হতে ডাটায় সংক্রমিত হয় এবং ক্রমেই গাছের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
  • পরে গাছের বাকল প্রথমে বাদামী হয় এবং পরে ডোরাকাটা সাদা দাগে পরিনত হয়।
  • চকলেট রঙের ফ্যাকাশে রঙের দাগ দেখা যায়।
  • আক্রমন বেশি হলে পাতা ঝরে পড়ে। কান্ডে বাদামি রঙের কাল ছোট ছোট দাগ দেখা যায়।

ক্ষতির ব্যপ্তিঃ

অনুকূল পরিবেশ

উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে।


জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • একই জমিতে পরপর অনেকদিন যাবত একই ফসল চাষ না করা ভালো।
  • রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করুন।
  • সুষমসারব্যবহারকরুন।

রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ

  • বীজ শোধনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে এমকোজিম ৫০ ডব্লিউ পি মিশিয়ে বপনের আগে ৩০ মিনিট ধরে বীজ শোধন করে নিতে হবে।
  • এসিবিন ২৮ এস সি, প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ মিলি মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ১০০ মিলি।
  • ডিফার ৩০০ ই সি প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৭.৫ মিলি মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। একর প্রতি মাত্রা ১৫০ মিলি।

সুপারিশকৃত পণ্য সমূহ

আমাদের ব্র্যান্ডসমূহ